বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম, আজকে এই পোষ্টটিতে আপনাদের মাঝে আলোচনা করবো আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত।
আয়াতুল কুরসি বাংলা অনুবাদ, উচ্চারণ ও অর্থসহ ফজিলত
আয়াতুল কুরসি আরবী
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَۚ-اَلْحَیُّ الْقَیُّوْمُ ﳛ لَا تَاْخُذُهٗ سِنَةٌ وَّ لَا نَوْمٌؕ-لَهٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِؕ-مَنْ ذَا الَّذِیْ یَشْفَعُ عِنْدَهٗۤ اِلَّا بِاِذْنِهٖؕ-یَعْلَمُ مَا بَیْنَ اَیْدِیْهِمْ وَ مَا خَلْفَهُمْۚ-وَ لَا یُحِیْطُوْنَ بِشَیْءٍ مِّنْ عِلْمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَۚ-وَسِعَ كُرْسِیُّهُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَۚ-وَ لَایَــٴُـوْدُهٗ حِفْظُهُمَاۚ-وَ هُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیْمُ
আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ
আল্লা-হু লাইলা-হা ইল্লা-হুও, আল হাইয়ুল কাইয়ুম, লা-তা'খুযুহূ ছিনাতুও ওয়ালা-নাওম, লাহু মা-ফিছ ছামা-ওয়া-তি ওয়ামা- ফিল আরদ্ব, মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ ইনদাহূইল্লা-বিইযনিহ; ইয়া'লামুমা-বাইনা আইদীহিম ওয়ামা-খলফাহুম, ওয়ালা-ইউহীতুনা বিশাইইম মিন 'ইলমিহীইল্লা-বিমা-শাআ, ওয়াছি'আ কুরছিইয়ুহুছ ছামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা-ইয়াউদুহু হিফজু হুমা-ওয়া হুওয়াল 'আলিইয়ুল ' আজীম।
আরো পড়ুনঃ দোয়া মাসুরা বাংলা অনুবাদ, উচ্চারণ ও অর্থ
আয়াতুল কুরসি অর্থ
আল্লাহ্, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নাই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক। তাঁহাকো তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না। আকাশ ও পৃথিবীতে যাহা কিছু আছে সমস্ত তাঁহারই। কে সে, যে তাঁহার অনুমতি ব্যতীত তাঁহার নিকট সুপারিশ করিবে? তাহাদের সম্মুখে ও পশ্চাতে যাহা কিছু আছে তাহা তিনি অবগত। যাহা তিনি ইচ্ছা করেন তদ্ব্যতীত তাঁহার জ্ঞানের কিছুই তাহার আয়ত্ত করিতে পারে না। তাঁহার কুরসী' আকাশ ও পৃথিবীময় পরিব্যাপ্ত; ইহাদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁহাকে ক্লান্ত করে না; আর তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ।
আরো পড়ুনঃ নামাজের ছানা দোয়া বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ
আয়াতুল কুরসির ফজিলত
• হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে ইহা পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পাবে না। (বুখারী, হাঃ ২৩১১)
• রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রত্যেক ফরজ সালাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠকারী জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোনো বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতিত। (নাসাঈ কুবরা, হাঃ ৯৯২৮, ত্বাবারানী, হাঃ ৭৫৩২, হাদীস সম্ভারঃ ১৪৬৩)
• উবাই ইবনু কা'ব (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াতটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই অধিক জ্ঞাত। তিনি আবার বলেন, হে আবুল মুনযির! তোমার কাছে আল্লাহর কিতাবের কোন আয়াটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ? আমি, বললাম, আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম (আয়াতুল কুরসি)। তখন তিনি আমার বুকে (হালকা) আঘাত করে বলেনঃ হে আবুল মুনযির! তোমার জ্ঞান আনন্দদায়ক হোক। (আবু দাউদ, হাঃ ১৪৬০)